ফুসফুসের ব্যায়াম (প্রাণায়ম) – সহজ একটা সিরিজ

ফুসফুসের ব্যায়াম অর্থাৎ দম সাধনা অর্থাৎ প্রাণায়ম, যোগীদের প্রধান চর্চা। অতচ সাধারণ জীবন-যাপন সুস্থভাবে পার করতে চাইলে অনেক মূল্যবান একটা শিক্ষা।

বিশেষভাবে করোনা মুকাবিলায় বাংলাদেশ স্বাস্থ অধিদপ্তরের পরামর্শে প্রাণায়ম শিক্ষাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ পরামর্শের অনুযায়ী ২০২০ সালে ৮টা প্রাথমিক প্রাণায়ম চর্চা প্রচার করা হয়েছে দেবো ইয়োগা ইউটুব চ্যানেল। ক্রম মতাবেক পুরো সিরিজটার তালিকা এখানে দেওয়া হল।

প্রশ্ন থাকলে বা মতামত জানাতে কমেন্ট দিয়ে যাবেন। জয়গুরু জয়গুরু।।

প্রাণায়ম সিরিজ ১/৮
« খাঁচা ভেতর অচিন পাখি কেমনি আসে যায় »
ফুসফুসের ব্যায়াম শুরু করতে আমাদের নি:শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে পরিচয় করি। শুয়ে শুয়ে একটা হাত পেটে রেখে দমের আসা-যাওয়াকে লক্ষ করবেন।
প্রাণায়ম সিরিজ ২/৮
আমাদের ফুসফুসের ব্যায়াম সিরিজে দ্বিতীয় ভিডিওতে দমের নিয়ন্ত্রণ কী জিনিস, সেটা এর প্রথম স্বাদ দেখাই। ৩টি ধাপে ৩টি দেশ : অধ, মধ্য, ঊর্ধ্ব।
প্রাণায়ম সিরিজ ৩/৮
দমের রূপের সাথে আরও পরিচয় করি:
পূরক : দম নেওয়া
রেচক : দম ছাড়া
কুম্ভক : দম ধরে রাখা
এ তিনটি নিয়ে একটা চর্চা, সেটা আমি নাম দিয়েছি বর্গ দম।
প্রাণায়ম সিরিজ ৪/৮
এবার দম নিয়ে গরম বোধের সাথে আমরা শান্তি চুক্তি করি : শীতল প্রাণায়ম এমন একটা চর্চা।
প্রাণায়ম সিরিজ ৫/৮
এ ভিডিওতে আর একটু গভীরে যাচ্ছি দম নিয়ন্ত্রণে। ২টি নাকের সাথে পরিচয় করে, অনুলোম-বিলোমের পদ্ধতি দেখাই।
এ প্রাণায়মকে বলা হয় নাড়ীসোধন। কারণ বাঁ আর দান নাকের সাথে দেহের সূক্ষ্ম বিদ্যুৎময় নাড়ীর সম্পর্কযুক্ত।
প্রাণায়ম সিরিজ ৬/৮
যারা এপ্রিল মাসে ফেসবুক লাইভে ধ্যানে বসেছেন আমার সাথে, হয়তো দেখা হয়েছে ভ্রমর প্রাণায়ম। অন্তর নীরবে যেতে চাইলে অন্তরে যে গানগুলো থাকে তাদের শোনার জন্যে এ চর্চা।
প্রাণায়ম সিরিজ ৭/৮
এ ভিডিওতে দমের রূপকে পরিবর্তনের দিকে আনাই। কপালবাতি সমপূর্ণ করতে পারলে তিন দিকে কাজ হয়:
শারীরিকভাবে আমাদের খুলি পরিষ্কার করে;
মানুসিকভাবে আমাদের দুশ্চিন্তা দূর করে;
রূপকভাবে আমাদের কপাল বা ভাগ্য শুদ্ধ করে।
প্রাণায়ম সিরিজ ৮/৮
আমরা একটা ফুসফুসের ব্যায়াম সিরিজ বা দম সাধনার চর্চা প্রচার করে আসছি ৮টা ভিডিও করে। এ শেষ চর্চাতে ফলের আশায়।
৩টি দেশ শরীরের (অধ, মধ্য, ঊর্দ্ব)। হাত দেখিয়ে ৩টি দেশের ৫টা সীমান্তে ধাপে ধাপে হালকা কুম্ভক রেখে নি:শ্বাস নেবো।
মাটি, নাভি, গলা, কপাল, আকাশ।
এবং প্রশ্বাস ছাড়বো একটানে – যত ধিরে সম্ভব।
আমরা সকলের সুস্থতা এবং মনের আনন্দ কামনা করি।